শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স :বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ১২৮ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে ১১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বেড়েছিল।
তবে গত ২৪ ঘণ্টার হিসাব অনুযায়ী এ নদীর পানি আরও কমেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীর পানি কমে বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুয়ায়ুন কবির।
যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ, বোহাইল ও সারিয়াকান্দি সদরসহ সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মোট ১৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। যা আস্তে আস্তে স্বাভাবিকে ফিরছে।
পানিবন্দি এলাকার অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া যমুনা চরের অনেকে ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে নৌকায় নদী তীরে চলে আসছেন। বন্যার দুর্যোগ থেকে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে চরের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছেড়েছেন অনেকেই।
হুয়ায়ুন কবির জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬ দশমিক ৮৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। এখন এ নদীতে ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এ নদীর পানি কমে বিপৎসীমা বরাবর প্রভাবিত হচ্ছে।
হুয়ায়ুন কবির জানান, এর আগে গত বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি ১৬ দশমিক ৯৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।